নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বজুড়েই বিমান ও পর্যটন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি এই দু’টি শিল্পকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তবে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিমান ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বেসামরিক বিমান চলাচল খাতে করোনাযোদ্ধা সম্মাননা ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ (ফ্রেন্ড ইন নিড) সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব আলী বলেন, করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে যখন সবকিছু থমকে গিয়েছিল, তখনো আমাদের এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরে কর্মরতরা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। দেশ ও জনগণের স্বার্থে জীবনকে তুচ্ছ করে দায়িত্ব পালন করতে তারা দ্বিধাবোধ করেননি। এমনকি করোনার কারণে অনেক দেশের বিমানবন্দর বন্ধ হলেও আমাদের দেশের বিমানবন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম যখন চীনে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো, তখন চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বিমান বাংলাদেশ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এপর লকডাউনের পুরো সময়জুড়ে দেশীয় দু’টি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ। তারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে। বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া আমাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে মেডিকেল পণ্য দেশে এনেছে বিমান বাংলাদেশ ও ইউএসবাংলা। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক লাভের কথা চিন্তা না করে দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেছে। সেজন্য তারা সম্মাননা পেতেই পারে।
অনুষ্ঠানে যেসব প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয় সেগুলো হলো— বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যারাবিয়া।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্ণধাররা।
সান নিউজ/এসএম