নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত। তিনি ছাত্র হিসেবে যেমন অসম্ভব মেধাবী ছিলেন, একইভাবে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেও সামনের সারিতে ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় অবদান রেখেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশের বরেণ্য এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ছিলেন উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় ওয়াজেদ মিয়া বিদেশে ছিলেন। তাকে দেখার জন্য তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) সেখানে গিয়েছিলেন, সেজন্যই তারা দুই বোন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। সেই বিদেশ জীবনে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে অনেক কষ্ট করেছেন, দেশে আসতে পারেননি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিজ্ঞানীদের যে অবদান সেখানে ওয়াজেদ মিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর সে অবদান স্মরণীয় করে রাখতে তার নামে দেশে আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরি করা প্রয়োজন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনে জড়িতদের কেউ আইনের বাইরে যেতে পারবে না। কমিশন গঠন করে যারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে বিচার করাও জাতির নৈতিক দাবি। আমরা সেই নৈতিক দায়িত্ব পালনে কখনও পিছপা হব না।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গণি মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সাননিউজ/টিএস/এসএস