নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবিক সংকটের একটি স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বাংলাদেশের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ব্রাসেলসে ইইউ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ লেটারস অব ক্রিডেন্স উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। মিশেল বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত তার আগের সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত সালেহ রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আস্থা সৃষ্টির জন্য বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন। তিনি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
ইইউ প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের কথা স্বীকার করেন এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান সভাপতিত্বের কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত সালেহ মতবিনিময় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে একটি নিবেদিত দ্বিপক্ষীয় প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রচলিত ক্ষেত্রগুলোর বাইরে বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্বের পরিধি সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার।
সেখানে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে শিশুদের খেলার মাঠ, স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র, দ্বীপে কর্মরত দেশী-বিদেশী সংস্থার লোকজনের জন্য থাকার আলাদা ভবনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
সান নিউজ/এসএ