নিজস্ব প্রতিবেদক: লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যা মামলার রায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হবে।
দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ মামলার রায়ের জন্য এ দিনটি ঠিক করেছেন।
বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ছয় আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। অভিজিতের হত্যা মামলায় আটক ও পলাতক এই আসামিদের বিরুদ্ধে এমন দাবি করা হয়। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ সাজা দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছিলেন। তবে তা শেষ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। পরে বিচারক ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন- বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান সাজ্জাদ ওরফে শামস্ ও শাফিউর রহমান ফারাবী। মেজর জিয়া এবং আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। অন্য চার আসামি কারাগারে আছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি কারাগারে থাকা চার আসামি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে বই প্রকাশ ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক দেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায়। ওইদিন রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় টিএসসির সামনে অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ। গুরুতর আহত হন বন্যা। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
সান নিউজ/এসএস