নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে নিম্ন আয়ের মানুষ। দেশের ৫০ লাখ পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। শিগগিরই দেশজুড়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
এ জন্য ওএমএসপ্রাপ্তদের তালিকা হালনাগাদ করতে চিঠি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমান খাদ্য সচিব প্রায় তিন মাস আগে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে তালিকাগুলো (ওএমএসপ্রাপ্ত) হালনাগাদ করার জন্য পত্র দিয়েছিলেন। তারপরও তালিকাগুলো যদি হালনাগাদ না হয়ে থাকে তবে আপনাদের কাছে আমার পুনর্নির্দেশনা যদি কোনো ডিলার, কোনো মেম্বার বা কেউ যদি বেনামি কার্ড সংরক্ষণ করে থাকেন তবে আগামী ৫ এপ্রিলের (রোববার) মধ্যে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তা জমা দেবেন এবং স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতিমালা অনুসরণ করে রিপ্লেসমেন্ট করবেন।’
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ১০ টাকা কেজিতে ওএমএসের চাল বিক্রি করতে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। গত বুধবার (১ এপ্রিল) খাদ্য সচিব স্বাক্ষরিত চিঠিতে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে মোট ১৩টি নির্দেশনা প্রদান করেন।
এতে বলা হয়, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সম্প্রদায়সহ অন্য সব কর্মহীন মানুষকে এর আওতায় এনে এই বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।
নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকা অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানকে অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে; জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সপ্তাহে একবার একজন ভোক্তা ৫ কেজি চাল নিতে পারবেন। সপ্তাহে তিন দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালাতে হবে; স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি করপোরেশন, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির উপস্থিতি বা তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে; করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি (দূরত্ব বজায়) পরিপালন পূর্বক বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট কর্মহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ এই ওএমএস কর্মসূচি চলমান ওএমএস (আটা) কর্মসূচির অতিরিক্ত হিসেবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে।
গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওএমএসের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে চালের মূল্য প্রতি কেজি ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন।