নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬১। এ পর্যন্ত ২৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন। শুক্রবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। তিনি বলেন, ‘করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিটের সংকট নেই। রাজধানীসহ সারা দেশে নমুনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীদের স্বপ্রনোদিত হয়ে বেশি বেশি করে নমুনা পরীক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে যোগাযোগের আহ্বান জানান মন্ত্রী। প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের না হতে দেশবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের দেশে ১৪-১৫টি জায়গায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আরও পরীক্ষার জায়গা বাড়ানোর কাজ চলছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড ও বড় হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করা জরুরি বলে যাঁরা সন্দেহ করছেন, তাঁদের পরীক্ষার জন্য আসার আহ্বান জানান তিনি। জেলা পর্যায়ে নির্ধারিত যে অ্যাম্বুলেন্স আছে, সেগুলো ব্যবহার করবেন। আমাদের আশপাশের দেশগুলোও ভালো আছে। কোয়ারেন্টিন, ঘরে থাকার নিয়ম মেনে চললে আমরা প্রতিরোধ করতে পারব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৬টি নমুনা আইইডিসিআর পরীক্ষা করেছে। আইইডিসিআরের বাইরে পরীক্ষা করা ৩টি নমুনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে ফোনকল এসেছে ৬৫ হাজার ৯৮৪টি। এ নিয়ে মোট ১১ লাখ ৯৪ হাজার ১১৮টি ফোনকল এসেছে।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৬৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে এবং ২৪৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে মোট ৫৫২ জনকে।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে এবং আইসোলেশন থেকে ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩০৫ জনকে আইসোলেশন করা হয়েছিল; এখন রয়েছেন ৮২ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন। মারা গেছেন ৬ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ জন।