নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। করোনা প্রতিরোধে কারা কর্তৃপক্ষও নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি বন্দির সংখ্যা কমানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তিন হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তির প্রস্তাব করে একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
জামিন যোগ্য ধারায় তাদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। এরপর বিচারক জামিন দিলেই তাদের মুক্তি দেবে কারা কর্তৃপক্ষ।
করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রথম কারা কর্তৃপক্ষ বন্দির সংখ্যাধিক্যের কথা বিবেচনা করে মুক্তির জন্য এমন প্রস্তাব দেয়া হল। এছাড়া পৃথক আরেকটি আইনের ধারায় আরও দেড় হাজার বন্দিকে মুক্তির কথাও ভাবা হচ্ছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে যাদের সাজা খাটার হিসাব ২০ বছরের বেশি পার হচ্ছে, তারা ওই প্রক্রিয়ায় থাকবেন।
ফলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কারা কর্তৃপক্ষ মোট সাড়ে চার হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিতে পারে। এর মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার হাজতি ও বাকিরা কয়েদি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "সরকারের নির্দেশনার আলোকে তিন হাজার বন্দির একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি এখন স্বরাষ্ট্র থেকে আইন ও বিচার বিভাগে যাবে। জামিন যোগ্য ধারায় বিচারক তাদের জামিন দিলেই কারা কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অনেক দেশই কারাবন্দীদের মুক্তি দিয়েছে।
দেশের ৬৮টি কারাগারের ৯০ হাজারের মতো বন্দি রয়েছে। তবে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে ধারণক্ষমতার তিনগুণ বন্দি। এর আগে, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী ২০১০ সালে এক হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।