নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) কেন নিয়োগ দেয়া হবে না,তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)-এর চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া এর আগে গত ২৪ নভেম্বর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নিষ্ক্রিয়তা বাংলাদেশ সংবিধানের ১৭ (ক ও খ), ১৮ (১ ও ২) ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, সংবিধান অনুসারে শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন সময়ে হতাশায় ভোগেন, কেউ ইভ টিজিংয়ের শিকার হন, কেউবা আবার মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়েন। অথচ তারা এ বিষয়গুলো পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি কাউন্সেলর বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট থাকেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছ থেকে পরামর্শ বা কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারেন। বিপথ থেকে ফিরতে পারেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলর বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট আছেন। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।