নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ধর্মের দোহাই ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে ওবায়দুল কাদের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
কাদের বলেন, বিএনপি বিপদে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনার তীর ছুড়ছে। প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে যা আওয়ামী লীগের গত সাত দশকের ঐতিহ্য।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রো-অ্যাকটিভ নয়, তাদের রাজনীতি হচ্ছে রি-অ্যাক্টিভ। বিএনপি নেতারা চারদিকে শুধু ধ্বংস দেখতে পায়, তারা সরকারের কোনো উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না।
কাদের বলেন, আসলে তাদের সৃষ্টিশীলতাকে গ্রাস করেছে দুর্ভেদ্য নেতিবাচকতা। কারণ বিএনপির দৃষ্টিশক্তিতে এখন শীতের ঘন কুয়াশা জমেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে জুলুম আর লুটপাটতন্ত্র।
করোনা টিকা নিয়ে বিএনপি আবারও অপপ্রচার শুরু করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জনকল্যাণে নিবেদিত সরকারের যে কোন প্রশংসনীয় উদ্যোগকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা তাদের অপরাজনীতির অংশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা টিকা আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের কলের গান অবিরাম বাজিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বিএনপি নামক গুজব পার্টির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদান কাজ স্বচ্ছতা এবং সফলতার সঙ্গে শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।
পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩য় ও ৪র্থ ধাপের নির্বাচন সামনে, যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহ করবে এবং জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহে উসকানি দেবে তাদের ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কোনো পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে।
যেসব জনপ্রতিনিধি দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করবে ভবিষ্যতে তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন বক্তব্য না দিতে দলীয় নেতাদের সতর্ক করেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড, থানায় সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলন করতে গিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পকেট কমিটি কোনোভাবেই করা যাবে না, দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে সুযোগ করে দিতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে শীতার্ত অসহায় মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণে নেতারা অংশ নেন।
সান নিউজ/রুবেল/এসএম