নিজস্ব প্রতিবেদক : শহীদ আসাদ দিবসে প্রশ্ন জাগে এতবছরেও আসাদের স্বপ্ন কি সফল হয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আসাদের স্বপ্ন আজও সফল হয়নি। আসাদের আত্মত্যাগ ছিল শোষণ-মুক্তির প্রেরণা। আর যতদিন শোষণ থাকবে, বঞ্চনা থাকবে, নিপীড়ন থাকবে, ততদিন মৃত্যুঞ্জয়ী আসাদ থাকবে মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে এক সাহসী পথপ্রদর্শক হয়ে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, মূলত আসাদের মৃত্যুর পরই বেগবান হয় আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলন। সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে। সংঘটিত হয় উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, পতন ঘটে আইয়ুব শাহীর। স্বদেশ মুক্ত করার লড়াইয়ে আসাদ ছিলেন সাহসী পথপ্রদর্শক। দলীয় সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে, রাষ্ট্রীয়ভাবে আসাদের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা উচিত।
মোস্তফা বলেন, শহীদ আসাদ ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ বিপ্লবী নেতা। তিনি একাধারে যেমন ছাত্র আন্দোলন করতেন তেমনি কৃষক আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৬৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর মওলানা ভাসানী যে হাট হরতালের ডাক দিয়েছিলেন। নিজ বাড়ী নরসিংদীর মনোহরদি থেকে সেই হাট হরতালে অংশগ্রহণ করেছিলেন আসাদ। এবং এ কারণে তিনি পুলিশ হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহতও হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামীদের মুক্তি দাবির যে আন্দোলন চলছিল সে অবস্থায় আসাদের মৃত্যু সবাইকে নাড়িয়ে দেয়। যা পরবর্তীতে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে তরান্বিত করে। সেইসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় তৎকালীন সরকার।
তিনি বলেন, শহীদ আসাদের রক্তমাখা শার্ট জনগণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের সংগ্রামে প্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস লিখতে গেলে আসাদের নাম আসবেই। বর্তমান প্রজন্মকে স্বদেশ মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামের কথা জানতে হলে আসাদ চর্চা করতে হবে। তার স্বপ্ন ছিল জনগণতন্ত্র, এ কথা সবাই জানতে হবে। শহীদ আসাদ স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক বাংলার স্বপ্ন দেখতেন।
ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ জলিল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজুরুল ইসলাম, মো. হারুন-অর-রশিদ, নারী নেত্রী এলিজা রহমান প্রমুখ।
সান নিউজ/টিএস/এম