সা্ইদুর রহমান রুমি:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় লকডাউনে সারাদেশ যখন বিচ্ছিন্ন, সামর্থ্য বানরা যখন যে যার মতো করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঘরে মজুদ করে নিশ্চিন্তে রয়েছেন, তখন বিপাকে রয়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। এ সময় তারা না পারছেন কারো দুয়ারে যেতে, না পারছেন চাইতে কোন ধরনের সহায়তা।
কারণ লকডাউন আর সামাজিক দূরত্বের কারণে তাদের নিত্যদিনের কাজকর্ম বন্ধ। আর এই সব দুস্থ মানুষগুলোর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এক ঝাঁক তরুণ জীবনের মায়া ত্যাগ করে নেমে পড়েছিলেন রাস্তায়।
বস্তিতে বস্তিতে ঘুরে তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। ইঞ্জিনিয়ার লিমন লোকমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজধানীর পশ্চিম মান্ডা, দক্ষিণ মুগদা এলাকার মোট ৫২ টি পরিবারকে এমন করে পৌঁছে দেয়া হয় নিত্য পণ্যের প্যাকেট। যার মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি করে চাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ টি সাবান, মরিচ,হলুদ গুড়া।
পশ্চিম মান্ডার সত্তরোর্ধ বয়সী করিমুন্নেসা জানান, ’’বাজান সকালে ঘরে এক পট চাল আর কয়েকটি আলুই ছিলো সর্বশেষ। আর মনে মনে আল্লার কাছে বলছিলাম কিভাবে বাকি দিনগুলা চলমো। তোমাগো মনে হয় আল্লাই পাডাইছে।’’
এ কথা বলে তাঁর চোখে পানি চলে আসে। জানান, বাস্তবায়ন কারী সংগঠনগুলোর আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার লিমন লোকমান। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সহায়তা করেছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব নিউ ইনিশিয়েটিভ ( বিনি ), সহায় টেকনিক্যাল স্কুল, ফেইস, নারী উচ্চারণ, উইমেন ফ্রন্ট, খেদমত সোশ্যাল শপ। এ ধরনে সামাজিক কার্যক্রমগুলো ভবিষ্যতে চলবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং তার সংগঠনের সহায়তায় সমাজের সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি জানান, সহায় স্কুলটিও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কারিগরি জ্ঞান সমৃদ্ধ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে।