নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্ত্র আইনে রাজধানীর তুরাগ থানায় করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি)দিন ধার্য করেছে আদালত।
এর আগে, গত বছরের ৫ অক্টোবর ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অপরদিকে, মালেকের আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মালেককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তুরাগ থানার করা পৃথক দুই মামলায় মালেককে সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
তার আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট দুটি সাত তলা বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় ১২ কাঠার প্লট। এছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনকে জিম্মি করে চিকিৎসকদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন মালেক। চিকিৎসকদের বদলি-পদোন্নতিতেও ছিল তার হাত। নিয়োগ, বদলি ও পদন্নোতিতে তদবিরের নামে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যার বদৌলতে অল্প দিনেই শতকোটি টাকারও বেশি অর্থ-সম্পদের মালিক হন এই মালেক ড্রাইভার।
সান নিউজ/এসএম