নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় এই সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
ঢাকার বিশেষ জজ-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলায় সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সাক্ষ্য দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন। যিনি মামলার বাদী। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা শুরু করেন। তার জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।
গত ৪ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেয়া এই চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলার চার্জ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতে বদলি করেন।
২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ বলেন, তার ঘোষিত আয়কর ফাইলে এ টাকার ঘোষণা নেই। আমাদের মনে হয়েছে, এই টাকা অবৈধ আয় থেকে অর্জিত।
তবে ডিআইজি পার্থ দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকা তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা সারাজীবনের জমানো।
সান নিউজ/আরআই