নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেশের যে ৬০ পৌরসভায় শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোট হয়েছে, তাতে মেয়র পদে ৬২ শতাংশ ভোট পড়ছে। অপরদিকে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় মেয়র পদে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এ হিসেবে এবার ৩ শতাংশ ভোট কম পড়েছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, এ ধাপে ২০ লাখ ৯১ হাজার ৬৮১ ভোটের মধ্যে ১২ লাখ ৯৫ হাজার ২৩৬ ভোট পড়েছে। সে হিসাবে ভোটের হার হচ্ছে ৬১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
৬০ পৌরসভার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদরের একটি কেন্দ্র স্থগিত থাকায় ফলাফল নির্ধারিত হয়নি। তবে সেখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এগিয়ে আছেন।
বাকি পৌরসভাগুলোর মধ্যে ৪১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আরও চার পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সে হিসেবে আওয়ামী লীগ ৪৪টিতে মেয়রে পদে বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া বিএনপির চার জন, জাতীয় পার্টির এক জন, জাসদের ১ জন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চার ও বিএনপির দুই এবং দুই জন স্বতন্ত্র মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন শনিবারের ভোটে।
ইসি সচিব মো. আলমগীর শনিবার ভোট শেষে বলেছিলেন, সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো ছিল। প্রচুর ভোটার উপস্থিতি ছিল। দুয়েকটি জায়গায় দুষ্কৃতিরা অপচেষ্টা করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে; এটা খুবই নগণ্য ঘটনা। সব মিলিয়ে এবার পৌরসভায় সুষ্ঠু ও একটা সুন্দর নির্বাচন হয়েছে।
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসেভায়। আর ফেনীর দাগনভূঞার ৩৯ শতাংশ ভোট দ্বিতীয় ধাপের সর্বনিম্ন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব পৌরসভায় ভোট চলবে। এর মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয় ইভিএমে, ৩১ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপে অর্ধেক এলাকায় ভোটে জোর-জবরদস্তিসহ বেশ কিছু অভিযোগে উঠে। গাইবান্ধায় ভোট শেষে ব্যালট পেপার ও সরঞ্জাম নিয়ে ফেরত আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় ফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী একজন নিহত হন।সহিংসতা বাড়ায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি ও চতুর্থধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট রয়েছে পৌরসভায়।
সান নিউজ/এমআর/এম