নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রাজধানীর চারটি হাসপাতালে ভর্তি না করে মোহাম্মদ আলমাছ উদ্দিন নামের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
২৮ মার্চ দিনভর ছোটাছুটি করার পর অপর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হলেও মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়েছে ৬৮ বছর বয়সী আলমাছকে।
আলমাছ উদ্দিনের বড় ছেলে আরিফ হাসানের অভিযোগ, তার বাবা শনিবার ভোরে রাজধানীর বাসাবোর নিজ বাসায় ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর একে একে তাকে বারডেম হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পপুলার হাসপাতালে ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোনো হাসপাতালই ভর্তি করতে রাজি হয়নি কেউ।
পরে রাত ১২টায় মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হলেও ততক্ষণে তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটে। এই অবস্থায় ২৯ মার্চ রোববার সকালে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আলমাছ উদ্দিন। মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেটেও ব্রেইন স্ট্রোককে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রোববার বাদ জোহর বাসাবো মাঠে নামাজে জানাজার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মাদারটেক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই, সাবেক মহাসচিব এম এ রশীদ, শরীফ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীরপ্রতীক এবং কমান্ডার শামসুজ্জামান বাবুল।
এক শোকবার্তায় করোনা সন্দেহে চিকিৎসা না দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাছকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে মরহুমের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান তারা।
সান নিউজ/সালি