নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে হলে নিবন্ধন করতে হবে জনসাধারণকে। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য দরকার একটি অ্যাপ। সেই অ্যাপ বানানোর খবর নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অ্যাপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৯০ কোটি টাকা। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
চলতি মাসের ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে দেশে আসছে করোনার টিকা। সেই টিকা কিভাবে প্রয়োগ করা হবে তার একটি গাইড লাইনও ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্ট বলছে, এ অ্যাপ বানাতে খরচ হচ্ছে ৯০ কোটি টাকা। দেশের সব মানুষ এ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এ টাকা চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পুরনো অ্যাপ আধুনিকরণ করতে এত টাকা খরচ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
আর তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জানান, একটি অ্যাপ তৈরিতে এত খরচের প্রয়োজন নেই। তারপরও সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি পরিষ্কার করার পরামর্শ তার।
তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, এটাকেই যদি রুপান্তর করে আবার ৯০ কোটি টাকা খরচ করে আরেকটা অ্যাপ তৈরি করা হয় তাহলে সেটা কি দাঁড়াবে, এটা আসলে বলা মুশকিল। এখানে হয়তো হতে পারে যে, পাশাপাশি এর সঙ্গে আরও কোনো খরচ যেটা আসলে অ্যাপের সঙ্গে রিলেটেড না, সেই খচরটাও এখানে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার একটা ব্যাখ্যা প্রয়োজন যে, এটা আসলে অ্যাপের জন্য ৯০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে নাকি টোটাল প্রজেক্টের জন্য ৯০ কোটি টাকা।
যদিও সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর বলছে, অ্যাপ বানানোর পর বিপুল পরিমাণ তথ্য প্রাউড সার্ভারে হোস্ট করা, এনআইডি ও মোবাইল নম্বর যাচাই, এক বছরে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের কয়েক কোটি এসএমএস পাঠানো হবে এ অ্যাপের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে যে খরচ হবে তা কোনোভাবেই অ্যাপ বানানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। অ্যাপ বানাতে ৯০ কোটি টাকা খরচের গল্পকে বিভ্রান্তি ছড়ানোই উদ্দেশ্য বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো।
সান নিউজ/এস