নিজস্ব প্রতিবেদক : মেয়র পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়াই তাদের পেশা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এ প্রতারক চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি টিম।
পুলিশ জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করতো একটি চক্র। তারা (Shekh Fazle Noor Taposh) নামের আইডি ব্যবহার করে নিজেকে মেয়র পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ের গেটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জাকারিয়া ও একরামুল হক ওরফে রাজু। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন ও টাকা লেনদেন করার কাজে ব্যবহৃত একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বারের সিম উদ্ধার করা হয়।
ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী নাছিরুল হাসান সজীব। এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রংপুর ও গাজীপুর জেলা থেকে সোমবার দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, জাকারিয়া মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে ভুয়া আইডি খুলে নিজেকে মেয়র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখাতো। তার ফাঁদে পা দিলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো। টাকা সংগ্রহের জন্য কাজ করতো গ্রেপ্তার একরামুল হক। একরামুলের নামে রেজিস্ট্রিকৃত বিকাশ নম্বর ব্যবহার করা হতো।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা উচ্চ শিক্ষিত না হলেও প্রতারণার কাজে তারা খুব অভিজ্ঞ। এদের মধ্যে একজন এইচএসসি পাশ ও আরেকজন ক্লাস নাইন পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।
অন্যদিকে অপর এক অভিযানে বিখ্যাত ব্যক্তির নামে ফেসবুক আইডি খুলে রিকোয়েস্ট দিয়ে ফিশিং গেমের লিংক পাঠিয়ে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি টিম।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি কম্পিউটার, বিকাশে টাকা সংগ্রহ ও হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত দুটি স্মার্টফোন ও বিভিন্ন অপারেটরের সাতটি সিম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা প্রধান (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার সাইফুল লোভনীয় অফার সম্বলিত ফিশিং লিংক তৈরি করে টার্গেট ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে (বিশেষ করে নারীদের) পাঠাতো। লিংকে ক্লিক করলে টার্গেট ফেসবুক আইডিটি প্রতারক সাইফুলের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এরপর হ্যাক করা আইডির বন্ধুদের ম্যাসেঞ্জারে নক করে তাদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা ধার চায়।
তিনি বলেন, টাকা ধার চেয়ে সাইফুল তার বিকাশ নম্বর দেয়। এভাবে সে অসংখ্য মানুষের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
সান নিউজ/আরআই