দেশে পুলিশের অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের নাম আজীবন জড়িত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
৫ জানুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
পুলিশ বাহিনী প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। বিশেষ করে সড়ক নিরাপত্তায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। পথচারীসহ সকলের চলাচলে ট্রাফিক পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করছে বলেও তিন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জনগণ তাৎক্ষণিক সুবিধা পাচ্ছেন। ফায়াস সার্ভিস কর্মীরাও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই ২১ বছর সরকারে ছিল। এ সময় তারা দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে কাজ শুরু করে।
বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্য এ সময় নিজের জীবনবাজি রেখে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করেছে। এজন্য আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। এ সময় পুলিশের প্রত্যেকটি কাজে সাহসিকতা ও দক্ষতা দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজ শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’এই স্লোগান নিয়ে পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ শুরু হয়। চলবে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সান নিউজ/সালি