নিজস্ব প্রতিবেদক : ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেল পর্যায়ের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আটক তিন তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে পুলিশ বলেছে, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তিন তরুণের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
তবে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলার একমাত্র আসামি ও ছাত্রীর বন্ধু ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহান শুক্রবার আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি এখন কারাগারে।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে স্কুলছাত্রীর লাশ ভোরে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোপালপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ও জিজ্ঞাসাবাদে ফারদিনের তিন বন্ধুর হত্যায় ও ধর্ষণে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
তাই তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। যদি হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় ওই তরুণদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, আনুশকার বাসা ধানমণ্ডির সোবহানবাগে।
বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে। পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে আনুশকার এক আত্মীয় বলেন, বন্ধুর বাসায় গেলে ধর্ষণের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি।
সান নিউজ/এসএ