নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কয়েক লাখ প্রবাসী দেশে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, বিমান ও স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে প্রায় সোয়া ৬ লাখ মানুষ। করোনা বিস্তার রোধে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছে সরকার। কিন্তু তা মানছেন না অধিকাংশ প্রবাসী।
দেশে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তাদের অধিকাংশই বিদেশ ফেরত। অন্যরা বিদেশ ফেরতদের আত্মীয়-স্বজন। বিদেশ ফেরতদের সংখ্যা সোয়া ৬ লাখ হলে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় এসেছে মাত্র ৮ শতাংশ। বাকি ৯২ শতাংশ বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের কোন হদিস নেই। তারা কোথায় কিভাবে আছে তা জানা নেই কারো।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। নির্দেশনা না মানায় অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে। সতর্কতার জন্য বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এতসব পদক্ষেপের পরও সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশই রয়েগেছে কোয়ারেন্টিনের বাইরে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিদেশফেরতদের তালিকা তৈরি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন- ডিএসসিসি। এ তালিকায় থাকা ৫২ শতাংশেরই ঠিকানা ও অবস্থান এখনও শনাক্ত করতে পারেনি ডিএসসিসি।
অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব বিদেশফেরতদের অবস্থান নিশ্চিত করে হোম কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা না গেলে ভাইরাসটির সংক্রমণ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
ডিএসসিসির তথ্যমতে, ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিদেশ ফেরতের সংখ্যা এক হাজার ২৪০ জন। এর মধ্যে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ৫৯২ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি ৬৪৮ জনের কোন হদিস নেই । তারা কোথায় আছে জানে না কেউ। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা ঠিকানায় গিয়েও পাওয়া যায়নি তাদের।
তথ্য গোপন করে বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীরা অবস্থান করছেন স্বজনদের সঙ্গে। অংশ নিচ্ছেন নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে। ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন না মেনে অন্যদের সংস্পর্শে আসায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছেন তারা, মত বিশেষজ্ঞদের।