নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা মামলার মোট সাক্ষী ৪২ জন। এর মধ্যে ১৪ জনের অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে করা এই মামলায় সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে বুধবার (৬ জানুয়ারি) আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসানের আদালতে এই সাক্ষ্য দেন সাক্ষী। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করে। এই নিয়ে এই মামলায় ৪২ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
সান নিউজ/এমএ/এস