নিজস্ব প্রতিবেদক : পোল্ট্রি খামারের ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার কমলপুর গ্রামের আশপাশের বাসিন্দারা। খামারি প্রভাবশালী কোয়ালিটি কোম্পানির ইনচার্জ ফয়েজ আহমেদ এলাকাবাসীর অভিযোগ না শোনে ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে তৈরি করে যাচ্ছেন একের পর এক পোল্ট্রি খামার। এরই মধ্যে তিনি চারটি খামার তৈরিও করেছেন। চারটি খামারে প্রায় দুই লাখ মোরগ রয়েছে। মাছির উপদ্রবে মশারীর ভেতরে বসে ভাত খাচ্ছেন লোকেজন। নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি।
গ্রামবাসী সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এলাকাবাসী নানা ভাবে কোম্পানি কর্তৃক হেনস্থা হচ্ছেন। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে তারা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।
সর্বশেষ বুধবার (০৬ জানুয়ারি) এলাকাবাসী বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর নির্মিত খামারগুলোর গুটিয়ে পেলা ও আর যাতে নতুন করে তৈরি না করা হয় সে দাবিতে আবেদন করছেন জেলার মাধবপুর উপজেলার কমলপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর পক্ষে আবেদন করেন আনিসুর রহমান আদিল।
আবেদনে বলা হয়, সরকার সুদৃষ্টি দিলে কোয়ালিটি পোল্ট্রি ফিড লিমিটেড গ্রামের ভেতরে এরকম অবাধে পোল্ট্রি খামার তৈরি করতে পারবে না। গ্রামের ভেতরে কমলপুর হযরত শাহজালাল আলিম মাদ্রাসা ও আজিজুর রহমান স্কলার একাডেমি, হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ রয়েছে। এ খামারের দুর্গন্ধ ও মাছির উপদ্রবে শিক্ষাক্রম ব্যহত ও মুসল্লিরা এবাদত বন্দেগি ব্যহত হবে।
এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সহযোগিতা কামনা করেন।
খামার তৈরিতে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়, তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে কোয়ালিটি ইনটিগ্রেটেডের ইনচার্জ ফয়েজ আহমেদ বলেন, আমার এ বিষয়ে জানা নেই। আমাদের উত্তরাতে হেড অফিস রয়েছে, সেখানে যোগাযোগ করেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসনুভা নাশতারানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/বিএস