নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) মা লীলাবতি হালদার ও সহযোগী অমিতাভ অধিকারীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হািইকোর্ট।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন ফ্রান্সের ইন্টারপোল হেডকোয়ার্টারে পাঠানোর কথা জানান র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। যেকোনো সময় রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার কথাও বলেন তিনি।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পিকে হালদারের দুর্নীতির অনুসন্ধানে শংখ ব্যাপারীকে দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, রিলায়েন্স ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন পিকে হালদার। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে থাকা ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে কৌশলে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি ও তার সহযোগীরা। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব অর্থ নিয়ে তিনি পাড়ি জমান কানাডায়। পরে অক্টোবর মাসে দেশে ফিরতে চান তিনি। কিন্তু হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় দেশে ফিরলে যেন তাকে এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিনি দুবাই থেকে আবারে কানাডায় ফিরে যান।
এদিকে পিকে হালদারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা অর্থ আমানত হিসাবে রেখেছিলেন তারা এখন বিভিন্নভাবে তথ্য দিয়ে দুদককে সহযোগিতা করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ঊর্ধ্বতন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। এরা পিকে হালদারের পাচারকৃত টাকা কোথায় কোথায় রেখেছে তারা তা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে জেনে দুদককে অবহিত করছেন বলে সূত্র জানিয়েছেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ধানমণ্ডির দুটি ফ্লাটসহ পিকে হালদারের স্থাবর সম্পদগুলো ক্রোকের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ আবেদন করেন।
সান নিউজ/বিএস