নিজস্ব প্রতিবেদক : সংশোধনের মাধ্যমে কঠোর হচ্ছে তামাক ব্যবহার আইন। দেশে তামাকের ব্যবহার কমাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা এবং এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স আত্মা’র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশ্বাস দেন।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ধাপে ধাপে কঠোরতা আরোপ করা হবে। ইতিপূর্বে তামাকপণ্যের প্যাকেটে ছবি ব্যবহার ছিল না, সেটি করা হয়েছে। পাশাপাশি এক সময় বিমানসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে ধূমপানের সুযোগ ছিল। আইন করে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনটি আরও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আইনের সংশোধনী আনা হচ্ছে।
এ সময় প্রজ্ঞা এবং আত্মা’র প্রস্তাবসমূহ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার করবেন বলে আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রজ্ঞা এবং আত্মা’র পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাবগুলো হলো- ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্তসহ সকল পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসের (এইচটিপি) মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধিসহ তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, আত্মা’র কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী, প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ।
সান নিউজ/আরআই