ক্রীড়া প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের কারণে আগামী জুন পর্যন্ত স্থগিত ক্রিকেট দুনিয়ার শীর্ষ সংস্থা আইসিসি’র সব ধরণের ইভেন্ট। স্তব্ধ দেশের ক্রিকেট অঙ্গনও। যার ফলে মিরপুর স্টেডিয়ামে নেই চিরায়ত সেই ব্যস্ততা। খেলোয়াড়-কোচ, কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মীদের আনাগোনা নেই, নেই ব্যস্ততা, কেবলই সুনসান নীরবতা, খাঁ খাঁ করছে ক্রিকেট পাড়া।
আর তাই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মিরপুর স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতার কথা ভাবছেন বিসিবির নীতিনির্ধারকরা। মিরপুর স্টেডিয়াম ও একাডেমিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র ঘোষণার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইডেন গার্ডেনসসহ চারটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দেশটির ক্রিকেট কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে। এবার সেই পথ অনুসরণ করতে চাইছে বিসিবিও। রাজশাহীতে এখনো করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দৃশ্যমান না হলেও বিভাগের তিনটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী প্রথমে কোয়ারেন্টিনকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ আবাসস্থল। সংক্রমণের পরিমাণ বাড়লে যার ঘাটতি দেখা দিতে পারে, এমন চিন্তায় এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি জানিয়েছে, কোয়ারেন্টিনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং মিরপুর একাডেমিকে। সরকার প্রয়োজন মনে করলে এই দুই ভবনের সুযোগ সুবিধা কোয়ারেন্টিনের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে বিসিবি যে কোন সময়ের জন্য প্রস্তুত।