নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, “কৃষির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে না। সেজন্য কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। স্বল্পসুদে কৃষকদের কৃষিঋণ প্রদান করছে। সার, সেচসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কমিয়েছে এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা হয়েছে।”
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবসে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “কৃষকের কষ্ট লাঘবে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিএনপি’র শাসনামলে কৃষি উপকরণের জন্য কৃষকদেরকে হাহাকার করতে হয়েছিল। সারের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছিল। বিএনপি সারের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল।”
তিনি বলেন, “ধানের উৎপাদন না কমিয়ে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করলে দেশের কৃষিখাত বিরাট উপকৃত হবে। কৃষকরাও লাভবান হবেন। আমন মৌসুমে বিনা-১৬ জাতের ধান চাষ করলে বোরো ধানের আগে আরেকটি ফসল বেশি করা সম্ভব। সেটি বিনা উদ্ভাবিত সরিষা। বোরোর আগে এই সরিষা চাষ করুন।”
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ধান চাষ করতে গিয়ে সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। অথচ বছরে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। এজন্য অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। আমন ও বোরো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে সরিষা আবাদ করলে একদিকে ধানের ফলন কমবে না, অন্যদিকে আমদানি খাতে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিনা’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, পিএসও ড. মো. শহীদুল ইসলাম, আছিয়া আহসান আলী, মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বেলাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সান নিউজ/এস