নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ির দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের জেল দেওয়ার ঘটনায় ওএসডি হওয়া কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা: সুলতানা পারভীনসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) জানিয়েছেন, ডিসিসহ চারজনকে জনপ্রশাসনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। ওএসডি থাকাকালে তাদের বেতন বন্ধ থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ওখান (কুড়িগ্রাম) থেকেও একটি মামলা হবে।
ফরহাদ হোসেন আরো জানান, গত ২৩ মার্চ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জামালপুরের জেলা প্রশাসকের মতো এরপর তাদেরও শুনানির সম্মুখীন হতে হবে। এরপর দোষের মাত্রা ও সার্ভিস রুলস অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ির দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের জেল দেয় জেলা প্রশাসনের সহকারী সচিব নাজিম উদ্দিন নেতৃত্বাধীন একটি দল। এ ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক দাবি উঠায়, গত ১৫ মার্চ ডিসি সুলতানা পারভীনসহ চারজনকে জনপ্রশাসনে ওএসডি করা হয়। অপর তিন কর্মকর্তা হলেন- সহকারী সচিব নাজিম উদ্দিন, রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম।