নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনতার গণতান্ত্রিক অধিকারটা জনতার হাতে আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। ক্ষমতাটা এখন জনতার হাতে। যার ফলে আমাদের উন্নয়নের গতিধারাটাও বলব যে, যথেষ্ট সচল হয়েছে। মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ সুফল পাচ্ছে। গ্রামের মানুষ সুফল পাচ্ছে, সেটাই হচ্ছে বড় কথা।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
’৭৫ পরবর্তী সময়ে মিলিটারি শাসকদের কারণে দেশের উন্নয়ন থমকে গেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ছিল না। হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল। মিলিটারি ডিটেকটররা ক্ষমতায় এসেছে একের পর এক বা ক্ষমতাটা ওই ক্যান্টনমেন্টের ভেতরেই বন্দী ছিল। যে কারণে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকেনি। সেখান থেকে এখন জনতার ক্ষমতা জনতার হাতে আমরা ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।
দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তারা আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছে, বিশ্বাস রেখেছে। পর পর তিন বার আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে বলেই আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে পেরেছি। যেমন আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিতে পেরেছি। ২০১০ থেকে ২০২০ একটা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা আমরা প্রণয়ন করি। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ কতটুকু উন্নতি করতে পারবে। তারপর আমরা আরেকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল অর্থাৎ এই ২০ বছর মেয়াদী একটা পরিকল্পনা আমরা করে রেখেছি। সাথে সাথে ২১০০ সাল পর্যন্ত আমরা একটা ডেল্টা প্ল্যান করে রেখেছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের এগিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ একটা মর্যাদাও পেয়েছে। এক সময় বাংলাদেশ বললে সবাই এমনভাবে ভাব দেখাত যে, এই বাংলাদেশ শুধু মানুষের কাছে হাত পেতে চলে। যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন আমার নিজের খুব আত্মসম্মানে বাঁধত এবং খুব কষ্ট লাগতো। সারাটা জীবন জাতির পিতা সংগ্রাম করেছেন, কষ্ট করেছেন, লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে সেই স্বাধীন দেশকে কেউ এরকম অবহেলার চোখে দেখলে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
সান নিউজ/এস