নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে রাষ্ট্রের ভিত্তি নষ্ট হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “আমরা এই করোনাকালে লক্ষ্য করেছি, দেশ যখন স্তব্ধ হয়ে গেছে, সবকিছু প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে তখন সাংবাদিকদের খবর বন্ধ হয়নি, রিপোর্টারদের রিপোর্ট সংগ্রহ বন্ধ হয়নি। রাষ্ট্রের চারটি স্তম্ভের একটি গণমাধ্যম। সেটি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে, তাহলে কিন্তু রাষ্ট্রের ভিত্তি নষ্ট হয়। সেটি মাথায় রেখেই গণমাধ্যম কর্মীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে এসেছেন।”
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সব সময় লক্ষ্য করেছি, যখন দেশে বা পৃথিবীতে কোনো সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন একটি মহল ওঁৎ পেতে থাকে কীভাবে সেটিকে কাজে লাগিয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা যায়, ভয়ভীতির সঞ্চার করা যায়। তারা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে। করোনাকালেও শুরুতে সে চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সেটার বিরুদ্ধে এবং গুজব যাতে ছড়াতে না পারে সে জন্য মূলধারার গণমাধ্যম শক্ত হাতে বলিষ্ঠভাবে যত্নশীল ছিল। সে কারণে করোনাকালে গুজব কিংবা মিথ্যা সংবাদ কাজে আসেনি; সার্থান্বেষী মহল বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। এ জন্য গণমাধ্যমের সাথে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি চালু করেছেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকে দেখবেন বিএনপির ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব প্রতিদিন সকাল বেলায় কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন। আবার সেটার সাথে প্রতিযোগিতা করে দুপুরে রিজভী আহমেদ আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করেন। পাশাপাশি প্রেস ক্লাবে গিয়ে গয়েশ্বর বাবু আরেকবার একটি বক্তৃতা দিয়ে বলেন, আমাদের কথা বলার অধিকার নাই!”
তিনি বলেন, “প্রতিনিয়ত সরকারের বিষোদগার করা হচ্ছে, আবার তারা বলছেন তাদের কথা বলার অধিকার নেই। আজকে টেলিভিশনের টকশোগুলোতে সরকারকে কী ভাষায় সমালোচনা করা হয়। আমরা মনে করি এই সমালোচনা থাকতে হবে। এই সমালোচনা না থাকলে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য থাকবে না।”
সান নিউজ/এস