নিজস্ব প্রতিবেদক : খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস) শুক্রবার। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার, মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তি দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে পৃথিবীতে আগমন ঘটে মহামতি যিশুর। বেথলেহেমে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ি প্রার্থনা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়। তবে এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) সকাল ৭টা ও ৯টায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। রমনা ক্যাথেড্রাল চার্চে সকাল সাড়ে ৮টায় বিশেষ প্রার্থনা হবে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় সারা দেশের চার্চগুলোতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে শুভ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বড়দিন উপলক্ষে ইতিমধ্যে দেশের সব চার্চ ও তারকা হোটেলগুলোকে ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বাতি, বেলুন ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পরিবারগুলোর মধ্যে নানা ধরনের কেক, পিঠাসহ বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের আনন্দ ও তাদের উপহার দেওয়ার জন্য থাকবেন সান্তাক্লজ। তবে সবকিছুই হবে সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও জানান, সারা দেশে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো চার্চ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ৭৪টি। করোনা ভাইরাসে এবার সীমিত পরিসরে বড়দিন পালন করা হবে বলে চার্চগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কারণে সবার স্বাস্থ্য নিরাপত্তাই প্রথম নিশ্চিত করতে হবে।
কিছু অনুষ্ঠান পরিহার করে যতটুকু না করলেই নয়, সেগুলো করা হবে। বড়দিনের অনুষ্ঠানের যে বিষয়, সেগুলোর গুরুত্ব তো অবশ্যই থাকবে। কিন্তু বাহ্যিক যে বিষয়গুলো বা আগে যেভাবে চার্চগুলোতে বড় আকারে অনুষ্ঠান হতো, সেগুলো এবার হচ্ছে না। করোনা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা হবে চার্চগুলোতে।
সান নিউজ/এসএ