নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বাসা থেকে সোনিয়া আক্তার জান্নাতি (১৬) নামে এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার বাঘজাপা গ্রামে। তার পিতার নাম মো. সাকিল মিয়া।
কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই চুন্ন মিয়া জানায়, তিন বছর যাবৎ সোনিয়া আক্তার জান্নাতি কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিকুজ্জামানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। গত এক মাস পূর্বে জান্নাতির কর্মস্থলে তার মা গ্রাম থেকে বেড়াতে আসে। বেড়াতে এসে মা দেখতে পায় তার মেয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে মুঠোফোনে কারো সাথে কথা বলেন। মা মেয়েকে ফোনে কথা না বলার জন্য একাধিকবার নিষেধ করেন। মেয়ে কথা না শোনায় একপর্যায় তাকে গালাগালিও করেন। মেয়ে মায়ের কথা সহ্য করতে না পেরে সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোন একসময় অভিমান করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে জান্নাতির গৃহকর্তা এসআই আতিকুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় মেয়ের মা বাসায় ছিল। আমি একটি তদন্তের কাজে বাহিরে ছিলাম। ফোন পেয়ে বাসায় গিয়ে এটা দেখে বিস্মিত হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মুযাম্মেল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। এরপর নির্বার্হী ম্যাজিট্রেট কামরুল হাসান সোহেলের উপস্থিতিতে লাশ নামিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতল মর্গে পাঠাই।
নির্বার্হী ম্যাজিট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে যাই। সেখানে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। ঘটনাস্থালে জানতে পারি মেয়ে টেলিফোনে কথা বলায় মা বকাবকি করে, মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়ে।
সান নিউজ/এসএম