সান নিউজ ডেস্ক:
চমক দিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের মাধ্যমে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই আয়োজনের। কারণ ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হন বঙ্গবন্ধু। তারপরই বর্তমানে প্যারেড গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত সাবেক তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দরে নেমেই পা ফেলেছিলে স্বাধীন বাংলাদেশের এই রূপকার।
সেদিনের সেই স্মৃতিময় আবহ তুলে ধরতে তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দরে বিমান অবতরণের মাধ্যমে মুজিবর্ষের আয়োজন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির আবহ কেমন ছিল তা জানান দিতেই মুজিবর্ষের কাউন্ট ডাউন শুরুর দিন তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করানো হবে।
সার্বিক পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, বেলা ৩টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে কাউন্ট ডাউন শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে মুজিববর্ষের লোগো আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হবে।
কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। তার ফিরে আসার ক্ষণ ও তার জন্মশতবর্ষের আয়োজন আমরা একবারে উদযাপন করব। সে লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে বছরব্যাপী জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন শুরু হবে। এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এছারাও আরো বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে দুহাজার আমন্ত্রিত অতিথি এবং ১০ হাজার দর্শক থাকবেন বলে জানা যায়। অংশ নিতে আগ্রহীদের মোবাইল ফোনের আ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মুজিববর্ষের কাউন্ট ডাউন উপলক্ষে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি স্পট, ৫৩ জেলা ও দুটি উপজেলায় মোট ৮২টি কাউন্ট ডাউন ঘড়ি বসানো হচ্ছে। ১০ জানুয়ারি একযোগে সেগুলোয় মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হবে।
সূত্র জানায়, কাউন্ট ডাউন উদ্বোধনের দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী। তাদের সহযোগিতায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এছাড়া সারা দেশে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/সালি