নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সোমবার মধ্যরাত থেকে সব লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া আগামী ২৬ মার্চ থেকে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধের ব্যাপারেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে ট্রেনের সব ধরনের টিকিট বিক্রি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ট্রেন পরিচালনা এ মুহূর্তে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধের কোনো বিকল্প পথ তারা দেখছেন না।
রেলের পরিচালক (পরিচালন) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। এরপর আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তাৎক্ষণিক রেল চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়, যে কাজের জন্য ছুটি, সেটা ব্যাহত হচ্ছে। এরপরই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো রকম লিখিত নির্দেশ ছাড়া, দেশের মূল স্টেশনগুলোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন করে রেল চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়।
বর্তমানে রেলে সারা দেশে ৩৫৬টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনে গত কয়েকদিন ধরে তুলনামূলক যাত্রী কম হলেও ট্রেনগুলো চলছে।
এর আগে সোমবার (২৩ মার্চ) দেশে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার, এর আগের দিন অর্থাৎ রবিবার (২২ মার্চ) স্থগিত করা হয় এইচএসসি পরীক্ষা। পাশাপাশি দেশের সুপারমার্কেট গুলোসহ সব দোকান বন্ধের ঘোষণা আসে। তবে, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে।
বিশ্বে প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ। অবশ্য এদের মধ্যে অন্তত এক লাখ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন তিন জন।