নিজস্ব প্রতিবেদক : কোন জেনারেলের বাঁশির হুইসেলে আচমকা জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েনি সবলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ছিলো দীর্ঘ শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনগণকে ধীরে ধীরে সংগঠিত করার চুড়ান্ত ফসল। যা করেছেন বাঙালির স্বপ্ন সারথি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।”
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভাস্কর্যের নামে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়ন অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।”
এমন সময় উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্যে কতিপয় ধর্ম ব্যবসায়ী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। এসকল অপশক্তির মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তা।
বঙ্গবন্ধুর ভার্য ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রিয় স্বদেশের স্বাধীনতা অর্জনের স্মারক। কোন অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে এ ভাস্কর্যের প্রয়োজন ও আবেদন এতটুকু ম্লান করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু আছেন জাতির চেতনায় ও প্রেরণায় বরং যারা জাতির পিতাকে অস্বীকার করতে চেয়েছে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এজন্যে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা জরুরি। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্যে রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ, এডভোকেট খন্দকার শামসুল হক, কামাল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ ও সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ূন কবির মিজি।
সান নিউজ/এসএ/এস