নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামী ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না। প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন বই বিতরণের মাধ্যমে বই উৎসব পালন করা হয়। তবে এবার ১ তারিখের আগে সব বই স্কুলে পৌঁছানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুলে বই পৌঁছানোর জন্য ড্রাফট তৈরি করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ড্রাফট অনুমোদন করবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সুস্থ হলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তবে ১ জানুয়ারির আগে সব বই পৌঁছাবে না। নবম ও দশম শ্রেণির ১৩টি বইয়ের মধ্যে মূল বই আটটি যথাসময়ে পৌঁছবে। আর ব্যাকরণ বই যাবে পরে।
জানা গেছে, এ বছর মোট সাড়ে ৩৪ কোটি নতুন বই মুদ্রণ করা হয়েছে। এ বই এখন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এবারও ৩১ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, ‘বই কীভাবে পৌঁছানো হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই বিতরণ নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত বই পৌঁছানোর দায়িত্ব এনসিটিবির। বাকি দায়িত্ব মাউশি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। মাধ্যমিকের ১৩ কোটি এবং প্রাথমিকের আট কোটিসহ ২১ কোটি বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পর্যন্ত পৌঁছেছে। বাকি বই পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
এ বছর মাধ্যমিকের বই প্রায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ। সাড়ে ৩৪ কোটি বইয়ের মধ্যে বাকিটা প্রাথমিকের। এরমধ্যে ১ জানুয়ারির আগে মাধ্যমিকের সব বই না পৌঁছলেও প্রাথমিকের সব বই পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/পিডিকে/এস