নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আবিস্কৃত টিকা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইতোপূর্বে একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন- আগামী বছরের জানুয়ারিতেই বাংলাদেশ মহামারি এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবে।
শুধু ভ্যাকসিন আমদানি করলেই নয়, এটি প্রয়োগ করতে দরকার একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। সেই লক্ষে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহে ব্যাপক তোরজোড় শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের তিন কোটি মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর এই তিন কোটি ভ্যাকসিন পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রয়োগে ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এরমধ্যে টিকা দিতে সারা দেশে আলাদা কোল্ড চেইন তৈরি করছে সরকার। কেনা হচ্ছে বিশেষ ধরনের ৪শ ৬৮টি ফ্রিজ। এগুলো বসানো হবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে। দেশে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ও মাইনাস ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার কোল্ড চেইন আছে সরকারি পর্যায়ে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন রাখতে আগে থেকেই থাকা টিকা কর্মসূচির ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার কোল্ড চেইন ব্যবহার করা যাবে। তারপরও বাড়তি প্রস্ততি হিসেবে ৪শ ৬৮টি আইস লাইনার ফ্রিজ কিনছে সরকার। এছাড়া ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার, কোল্ড বক্স, আইস প্যাক, সিরিঞ্জ, মাস্ক ও পিপিইসহ কেনা হচ্ছে দরকারি ৯ রকমের উপকরণ।
টিকার বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে জেলা-উপজেলায় গঠন করা হয়েছে কমিটি। সুষ্ঠু প্রয়োগে ১০ হাজার ৪০০ দলে ভাগ হয়ে কাজ করবেন ৬২ হাজার ৪০০ প্রশিক্ষিত ব্যক্তি। প্রতি দলে সদস্য সংখ্যা ৬ জন। টিকার সুষ্ঠু বণ্টনে জেলা-উপজেলায় গঠন করা হয়েছে কমিটি।
সান নিউজ/এস