নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে যানজট নিরসনে ২০২১ সালের প্রথমদিকে চালু হচ্ছে ১০টি ইউটার্ন। এর ফলে কমে যাবে ঢাকা উত্তরে যানজট, বাঁচবে যাতায়াতের সময়ও।
এরই মধ্যে চালু হয়েছে ৩টি ইউটার্ন। ২০ ডিসেম্বর খুলে দেয়া হচ্ছে আরও ৩টি। বাকি ৪টি ইউটার্ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ ইউটার্নগুলো খুলে দিলে সড়কটি ব্যবহারে ৭০ ভাগ সময় কমে যাবে। কর্মজীবী মানুষ তাদের কাজে ফিরে পাবেন গতি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর সড়কে অপেক্ষা করতে হবে না।
সূত্র মতে, ২০১৫ সাল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার যানজট কমাতে ১১টি ইউটার্ন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ডিএনসিসি’র তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক। সেগুলো হচ্ছে- রাজলক্ষ্মী ও র্যাব-১-এর কার্যালয়সহ জসীমউদ্দীন রোড, কাওলার ফ্লাইং একাডেমি, আর্মি গলফ ক্লাব, বনানী ফ্লাইওভারের নিচে, বনানী-কাকলী রেলস্টেশন, চেয়ারম্যান বাড়ি, মহাখালী ফ্লাইওভার, মহাখালী আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল, কোহিনূর কেমিক্যালস এবং বিজি প্রেস এলাকায় এসব ইউটার্ন নির্মাণের কথা।
তবে আর্মি গলফ ক্লাব সংলগ্ন ইউটার্নটি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রথম ধাপেই বাদ পড়ে যায়। এতে ইউটার্নের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০টি।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথের ৩১ দশমিক ২৫ বিঘা, রেলওয়ের ১ দশমিক ৬১ বিঘা এবং সিভিল এভিয়েশনের ১ দশমিক ৮৩ বিঘা জমির প্রয়োজন হচ্ছে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে অনুমোদন পেতেই দুই বছরের অধিক সময় লাগায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে বর্ধিত সময়েও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
এরই মধ্যে রাজলক্ষ্মী, র্যাব-১-এর কার্যালয়সহ জসীমউদ্দীন রোড ও কাওলার ফ্লাইং একাডেমি- এ ৩টি ইউর্টান চালু হয়েছে। চলতি মাসে চেয়ারম্যান বাড়ি, কোহিনূর কেমিক্যালস ও বিজি প্রেস এলাকায় চালু হবে আরো ৩টি ইউটার্ন। বাকি ৪টির কাজ এখনও চলমান।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও ডিএনসিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ইউটার্ন নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এরই মধ্যে ইউটার্ন প্রকল্পের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
সান নিউজ/এসএম