নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ অনেকদুর এগিয়েছে। পাবনা জেলার রূপপুরের ইউনিট ১ হাউজিংয়ের রি-এ্যাক্টর কুল্যান্ট পাম্প (আরসিপিএস) পাঠিয়েছে জেএসসি এইএম টেকনোলজির পেট্রজাভদস্কমাস।
যা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় করপোরেশন রোসাটমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা এ্যাটম এনারগোম্যাস ও রাশিয়ান প্রকৌশল ইউনিয়নের কেরেলিন আঞ্চলিক শাখা। পাম্প হাউসটির ওজন ৩১ টনের বেশি।
আর আরসিপিএস হাউজিং প্রস্তুত করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-রিরিক্ষার প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে এক্স-রে পরীক্ষা অন্যতম। এ ছাড়া হাইড্রোলিক পরীক্ষা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন উপাদান প্রায় ১০ মিনিট ২৪ দশমিক ৫ এমপিএ চাপে রাখা হয়।
প্রত্যেকটি পরীক্ষার আশানুরূপ ফল পাওয়া গেলে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান একটি গোলাকার হাউজিংয়ের বাইরের এবং ভেতরের কোনও এসেম্বলি টেস্ট করে। অন্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ এসেম্বলি ইউনিটগুলো আলাদাভাবে কাস্টমারকে পাঠানো হয়।
আরসিপিএস হাউজিং প্রথম শ্রেণির যন্ত্রাংশ। একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৬০ বায়ুমন্ডলীয় চাপে এবং ৩০০ ডিগ্রি তাপে রি-এক্টর কুল্যান্ট পাম্প রি-এক্টর থেকে কুল্যান্ট সার্কুলেশন স্টিম জেনারেটরে সরবরাহ করে। একটি ইউনিটে সরবরাহের আওতায় ৪টি গোলাকার আরসিপিএস হাউজিং থাকে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা এবং তার বাস্তবায়ন হচ্ছে রাশিয়ান পরিকল্পনা অনুযায়ী। যার নকশাও বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় করপোরেশন রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটে ভিভিইআর রি-এক্টর থাকবে।
এর আয়ুস্কাল ৬০ বছর, যা আরও ২০ বছর বাড়ানো যাবে। প্রত্যেক ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এইম টেকনোলজি দুটি ইউনিটের রি-এক্টর রুমের মূল যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করেছে।
সান নিউজ/এসএ