নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নিজে সার আমদানিকারক হলেও বন্ধুপ্রতীম দেশ নেপালের জরুরি প্রয়োজনে সেদেশে ৫০ হাজার টন ইউরিয়া সার রফতানি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিসিআইসি এবং নেপালের কৃষি সামগ্রী কোম্পানির (কেএসসিএল) মধ্যে এক চুক্তি সই হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চুক্তির আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার কাফকো, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে নেপাল সরকারকে রফতানি করা হবে। ১ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বাংলাদেশি প্রায় ১০৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮১২ টাকায় নেপাল এই সার কিনছে। সার সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে নেপাল-বাংলাদেশের সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় রচিত হলো। নেপালের সঙ্গে প্রস্তাবিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি ( পিটিএ) স্বাক্ষরিত হলে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বেগবান হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তিতে বিসিআইসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আমিন উল আহসান এবং কেএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেত্র বাহাদুর ভান্ডারি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব কে এম আলী আজম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বংশীধর মিশ্রসহ শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিআইসি এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও নেপাল সরকারের কৃষি ও প্রানিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং কেএসসিএলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব বলেন, নেপালের জনগণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা দেন। বাংলাদেশ নিজস্ব চাহিদা পূরণে সার আমদানি করলেও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ নেপালের জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ সার রপ্তানির চুক্তি করে বন্ধুত্বের হাত সল্ফপ্রসারিত করেছে।
বাংলাদেশ নেপালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, সার সহযোগিতার মাধ্যমে দু' দেশের মধ্যে সহযোগিতার যে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে তাতে উভয় দেশ উপকৃত হবে।
সান নিউজ/এস