নিজস্ব প্রতিবেদক : পাটের পুরনো গৌরব ফিরে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও সরকার হতাশ ছিলো পাটের ব্যাপারে। পাট এখন আবার দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকার মনে করছে, পাটের পুরনো গৌরব আবারও ফিরে পাবো।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটপণ্যের মেলা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মেলায় ২৮৫টি বহুমুখী পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় হচ্ছে। প্রায় জেডিসির তালিকাভুক্ত প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তার পণ্য প্রদর্শনী হচ্ছে এই মেলায়।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ তাদের মেশিন পুরানো ছিলো। সেই মেশিনে আধুনিকযুগের কাপড় বানানো যেতো না। ৯৫ শতাংশ বাজার প্রাইভেট সেক্টরে চলে গেছে। ৫ শতাংশ বাজার সরকার ধরে রেখেছে, তাও সাবসিডি দিয়ে। সুতরাং আমি মনে করি নতুন আঙ্গিকে প্রাইভেট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এই মিলগুলো চালু করা যাবে। তাহলে প্রাইভেট ম্যানেজমেন্টে যারা আসবে তারা আধুনিকায়ন করে পণ্য তৈরি করবে।
উদ্যোক্তা তৈরিতে স্থানীয় মেলার গুরুত্বের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় মেলা দিয়েই উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের যে মিলগুলো পড়ে আছে, সেখানে অনেক খালি জায়গা পড়ে আছে। সেখানে মেলার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিছুদিন আগে মাদারীপুরের শিবচরে তাঁতপল্লীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি বলেছি সেখানে পাটপল্লীও করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে পাটপল্লী করার কথাও বলেছেন।
জানা যায়, শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পাটখাতের উন্নয়নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগমান করতে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ ও পাট আইন ২০১৭, জাতীয় পাটনীতি ২০১৮ প্রনয়ন করেছে। এ সকল আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। আর সভাপতিত্ব করেন জেডিপিসির অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম ও সাবিনা ইয়াসমিন।
সান নিউজ/এসএম/এস