নিজস্ব প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ : পদ্মাসেতুর স্প্যান বসানো শেষ। গত বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সেতুতে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান বসানো হয়। এখন ৬.১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতু দৃশ্যমান। স্প্যান বসানো শেষ হওয়ায় ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ইয়োর আর প্রয়োজন নেই। তাই রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ক্রেনটি পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকা ছেড়ে নিজ দেশের( চীন) উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, ক্রেনটি সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে রওনা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে থেকে সেটি হংকং হয়ে নিজ দেশে (চীন) পাড়ি জমাবে।
তিনি আরও জানান, মাওয়া থেকে চট্রগ্রাম পর্যন্ত ক্রেনের যাত্রাপথে নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে বড় জাহাজে করে হংকংয়ে নিয়ে যাওযা হবে। হংকংয়ে পৌঁছাতে এক মাসের বেশি সময় লাগবে।
চীনে তৈরি ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার বিশেষ ধরনের এই ভাসমান ক্রেনের দাম আড়াই হাজার কোটি টাকা। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ক্রেনটি পদ্মাসেতু প্রকল্পের জন্য আনা হয়। সেই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান থেকে গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেতুর ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজে ব্যবহৃত হয় ক্রেনটি। এটি ব্যবহারে প্রতি মাসে খরচ পড়েছে ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ পদ্মাসেতু প্রকল্পে ক্রেনটি ব্যবহারে গত ৪৫ মাসে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা।
সান নিউজ/পিডিকে