নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ শনিবার রাত ১২ টা থেকে ৪ দেশ ছাড়া আর সব দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। দেশগুলো হচ্ছে, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশ থেকে এসব দেশে কোনও ফ্লাইট যাবে না এবং এসব দেশ থেকে কোনও ফ্লাইট ঢাকায় আসবেও না। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত । এ সংক্রান্ত নোটিশ টু এয়ারম্যান-নোটাম জারি করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
তবে যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং ও থাইল্যান্ড রুটে বিমান চলাচল অব্যাহত থাকবে। এসব দেশের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ রয়েছে বাংলাদেশের।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম তৌহিদুল আহসান জানান, করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণে কয়েকটি দেশ থেকে লোক বেশি আসছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। তাই ১০ রুটের সব ধরণের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আগামী ৩১শে মার্চ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। গতকাল নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও তিনজন। তাদরে সবাইকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। স্কুল-কলেজসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে। সেখানে নতুন করে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং সেখান থেকে কেউ বের হতে পারবে না।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন পর্যেটন কেন্দ্র। নিষিদ্ধ করা হয়েছে গণজমায়েতে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। রাজশাহী থেকে দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিক সমিতি।
করোনা প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। কোয়ারেন্টিন ও চিকিৎসার জন্য টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাদের অধিকাংশই বিদেশ ফেরত। আর দেশে যারা আক্রান্ত হয়েছে তারা সবাই বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল এভিয়েশনের হিসাবে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ দেশে ফিরছে। গত দুই মাসে বিভিন্ন পথে দেশে এসেছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। তারা ছড়িয়ে পড়েছেন সারাদেশে। এদের সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হলেও তা মানছেন না। কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা না মানায় অনেককে জরিমানা করা হয়েছে।