নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা আতঙ্কের মধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্য ভোগ্য পণ্যের বাজার। বাজারে সঙ্কট না থাকলেও বেড়েই চলেছে নিত্য পণ্যের দাম। অনেকে দাম বাড়ার আশঙ্কায় পণ্য কিনে মজুদ করে রাখছেন। আর এই সুয়োগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁর মোকামগুলোতে চালের দাম কেজি প্রতি প্রকার ভেদে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ব্যবাসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহে চালের বিক্রি বেড়েছে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ।আর এ সুযোগে সঙ্কট না থাকলেও, দাম বাড়াচ্ছেন অনেকে। সবচে বেশি বেড়েছে নিম্নবিত্ত মানুষের মোটা চালের দাম। মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ৭ টাকা পর্যন্ত।
চাল ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে এ সময়ে বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কায় মানুষের মধ্যে খাদ্যপণ্য মজুতের প্রবণতা বেড়েছে। চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে।
একই সাথে চালের চাহিদা বাড়ায় মোকামে তৈরি হয়েছে ধান কেনার প্রতিযোগিতা। এরে ফলে ধানের দাম প্রতি মণ বেড়েছে ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত।
নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোধ বরণ সাহা জানান, বছরের এ সময়টায় নওগাঁ থেকে বেশি হলে একশ ট্রাক চাল রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেত। কিন্তু গত সাত দিনে প্রায় ৫শ’ ট্রাক চাল সরবরাহ হয়েছে নওগাঁ থেকে। অর্থাৎ মোকামে চালের বিক্রি বেড়েছে পাঁচগুণ।
নওগাঁয় মোটা জাতের স্বর্ণা চাল কেজিতে বেড়েছে ৭টাকা। চিকন জাতের জিরা চাল ৬ টাকা এবং কাটারিভোগ ও নাজিরশাইল চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু চাল নায়, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের দামও বেড়েছে। পেঁয়াজ দাম ৪০টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মরিচ, রসুনের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
দাম বেড়েছে গরুর মাংসের। আগে যেখানে বিক্রি হতো ৫৩০- ৫৫০ টাকা কেজি দরে, এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকায়। তবে নতুন করে দাম বাড়েনি বয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি মুরগির।
তবে বাজারে নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, মাগুরা, লক্ষ্মীপুর ও কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দাম বেশি রাখায় অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জরিমান করা হয়েছে।