সান নিউজ ডেস্ক:
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমনের ব্যাপকতা ঠেকাতে সেনা পরিচালনায় কোয়ারেন্টিন হবে ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে। কারোর মধ্যে কভিড-১৯ রোগের লক্ষণ না থাকলেও যারা আক্রান্ত এলাকা থেকে এসেছেন কিংবা কোনো রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের আলাদা রাখার প্রক্রিয়াটি হল কোয়ারেন্টিন।
বৃহস্পতিবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেনা পরিচালনায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের কথা জানানোর পরে এই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেলে বড় সংখ্যায় মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য কোয়ারেন্টিন ইউনিট করার দায়িত্ব দেওয়া হবে সেনাবাহিনীকে। তবে কোয়ারেন্টিনের জন্য তিনি কেবল টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের কথা উল্লেখ করলেও আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সংলগ্ন হাজি ক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ী (সেক্টর-১৮) সংলগ্ন রাজউক এপার্টমেন্ট প্রকল্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হাজি ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে এর আগেও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনী।
এরই মধে্ দেশে যে ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশ থেকে আগত। চীনের উহান থেকে আসা বাংলাদেশিসহ পরে আরও কয়েকজন বাদে অন্যান্যদের সবাইকে নিজ বাড়িতে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছিল।
কিন্তু বিদেশ ফেরতদের অনেকেই তা উপেক্ষা করে চলছিল। এমন অবস্থায় বড় আকারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছে সরকার।
এই কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গকে বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। হস্তান্তরের পর সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সব যাত্রীদের বিমানবন্দর হতে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে স্থানান্তর, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন, সেন্টারে থাকাকালীন আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।”
আশকোনা ও দিয়াবাড়ি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে দুটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রও স্থাপন করেছে সেনাবাহিনী। প্রয়োজনে যে কেউ এই নম্বর দুটিতে যোগাযোগ করতে পারবেন।
নম্বর দুটি হল-
উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্প- ০১৭৬৯০১৩০৯০, ০১৭৬৯০১৩০৬২
আশকোনা হজ ক্যাম্প- ০১৭৬৯০১৩৪২০, ০১৭৬৯০১৩৩৫০