নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুতে সবশেষ স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অহংকার, গর্বের জায়গাটা অনেক উচ্চতায় চলে গেল বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর সবশেষ ৪১তম স্প্যান বসানোর কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সমগ্র দুনিয়াকে আমরা দেখিয়ে দিলাম আমরাও পারি, আমরা মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে পেরেছিলাম ঠিক একইভাবে যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে। আমাদের সামর্থ্য আছে যদি সে ধরনের নেতৃত্ব থাকে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা দেশ পেয়েছি আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি, বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। নতুন চালু হওয়া নৌঘাট বাংলাজার ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। সবশেষ ৪১তম স্প্যান বসানোর পর দৃশ্যমান হলো পুরো ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু।
এর আগে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে সাজিয়ে তোলা হয় স্বপ্নের সেতুর সবশেষ স্প্যানটি। চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি করছে সেতুর কাজ। স্প্যানের দুই পাশে তাই বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় পতাকা সেটে দেওয়া হয়। দুদেশের সুসর্ম্পকের কথা উল্লেখ করা হয় বড় একটি অংশ জুড়ে।
স্প্যানের গায়ে লিখে রাখা হয়, যে শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে কাজের এত অগ্রগতি, তাদের কীর্তিগাথা। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ইয়ার্ড থেকে রওনা হয় ক্রেনবাহী জাহাজ। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে খুঁটির কাছে পৌঁছায় জাহাজটি।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এর পর একে একে নানা বাধা পেরিয়ে ও নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিন বছর দুই মাস ১০ দিনে সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলো।
সান নিউজ/পিডিকে/এস