নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে দৃশ্যমান হলে পুরো পদ্মা সেতু। সংযুক্ত হলো পদ্মার এপাড়-ওপাড়। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ৪১তম স্প্যান বসার মধ্য দিয়ে শেষ হলো পদ্মাসেতুর স্প্যান বসানোর কাজ।
দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর পুরো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এরপরও সেতুর আরও অনেক কাজ বাকি থাকবে, যা সম্পূর্ণ শেষ হতে লাগবে প্রায় আরও এক বছর। এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
তিনি জানান, ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মূল সেতুর ২৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব এর মধ্যে ১২৮৫ টি এবং ২৯৫৯ টি রেলওয়ে স্ল্যাব এর মধ্যে ১৯৩০ টি স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টে ৪৮৪টি সুপার-টি গার্ডারের মধ্যে ৩১০ টি স্থাপন করা হয়েছে। বাকি রোডওয়ে স্ল্যাব, রেলওয়ে স্ল্যাব ও সুপার-টি গার্ডার বসাতে প্রায় আটমাস সময় লাগবে। এরপরে স্ল্যাবের ওপর হবে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। এছাড়া, ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজও বাকি।
দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের আরও জানান, ভাঙনের কারণে পদ্মা সেতুর ১২৬ টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ১৯২ টি রেলওয়ে স্ল্যাব নদীতে তলিয়ে যায়। সেগুলো নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। রেলওয়ে গার্ডার লুক্সেমবার্গ থেকে আনা হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ সেগুলো কনস্ট্রাকশন সাইটে চলে আসার কথা।
এসব কাজ ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিযোগাযোগ লাইন স্থাপনের কাজ বাকি আছে। সব মিলিয়ে বছর খানেক পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে পদ্মা সেতু।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯১ ভাগ।
এদিকে, পদ্মা সেতুর নদী শাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ দশমিক ৫০ ভাগ। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (নদী শাসন) মো. শরফুল ইসলাম সরকার জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পে সেতুর দক্ষিণপ্রান্তে মোট ১২ কিলোমিটার নদী শাসন কাজ হবে। এরমধ্যে ৮ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় তিন কিলোমিটার নদী শাসন কাজ বাকি আছে এবং উজানে আরও এক কিলোমিটার কাজ চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী বর্ষার আগে নদী শাসনের প্রধান কাজ, যেমন- ড্রেজিং, বালুর বস্তা ফেলা, সিসি ব্লক ফেলা ইত্যাদি কাজ শেষ করা। যদি বর্ষার আগে এসব কাজ শেষ করা যায় তাহলে বর্ষা মৌসুমে পাথর ফেলা (ডাম্পিং) যাবে বলে জানান তিনি।
সান নিউজ/এম