নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে এপর্যন্ত করোনা ভাইরাসে ১০ আক্রান্তসহ ১জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কিন্তু এর মধ্যেও তিন সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে ইলেকশন কমিশন।
কমিশন বলেছে, করোনার শঙ্কা রয়েছে, তবে আমরা আগামী ২১ ও ২৯ মার্চ নির্দিষ্ট দিনেই ভোট করতে চাই।
নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত রবিবার (১৫ মার্চ) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ঢাকা-১০ আসনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, রুদ্ধধার বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
বিশেষ করে ঢাকা-১০ আসনের ভোটে ইভিএমের ব্যবহার করা হবে। এই মেশিনে প্রত্যেক ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার কারণে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। তারা প্রত্যেক ভোটকক্ষে টিস্যু ও জীবাণুনাশক ওষুধ (স্যানিটাইজার) রাখার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, প্রত্যেক ভোটারকে ইভিএমে আঙ্গুল দেওয়ার আগে তাকে হাত জিবাণুমক্ত করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
একাজে ভোটগ্রহণে কিছুটা গতি কমবে এবং ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। তবে নির্বাচনের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম শাহাতাব উদ্দিন বলেন, করোনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এটা ঠিক। তবে সবাই সতর্কতার কথাই বেশি বলেছেন। বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা সবাই এটা নিতে সতর্ক আছি এবং থাকবো। ভোটের সময় টিস্যু ও হ্যান্ড ওয়াশ সরবরাহ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দরকার হলে মাস্ক ব্যবহার করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। তবে এসব মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। তবে কমিশন এখনও পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করতে চাইছে না। ২১ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে।
তিনি বলেন, বাঙালি ‘ন্যাশন অব টলারেন্স’এর চেয়ে বড় বড় দুর্যোগ সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নির্দেশনা সব ধরনের জনসমাগম না করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে সিইসি বলেন, আমরা এখনই বিষয়টি টেক আপ করবো। মেসেজটা যেন পৌঁছে দিতে পারি, সেজন্য ব্যবস্থা নেবো। সামনে চট্টগ্রাম সিটি ও কয়েকটি নির্বাচন আছে। প্রার্থীরা যেন সীমিত আকারে অন্য ডিভাইসে প্রচার করে, এবং যেন জনসভা ও পথসভা পরিহার করে, সেই অনুরোধ করবো।
সান নিউজ/সালি