নিজস্ব প্রতিবেদক : দাবি আদায়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের রাতের আঁধারে লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) ভোর রাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাত থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিক হাত ভাঙাসহ নানা ভাবে আহত হয়েছেন।
তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, কে বা কারা শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিয়েছে তা তারা জানেন না।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম জানান, ভোরের দিকে হঠাৎ বাঁশির শব্দ ও চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের লাঠির আঘাত লাগে কপাল ও পায়ে।
কান্না করে তিনি বলেন, ‘২২ বছরের চাকরিজীবনে বিনাবেতনে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা করিয়েছি। এই তার প্রতিদান। বাড়িতে গিয়ে পুলিশের এই অত্যাচারের কথা বলতেও পারব না।, এ বড় লজ্জা।’
আন্দোলনে আসা এক গার্মেন্ট কর্মী বলেন, ‘সারারাত গাড়ির শব্দে এমনিতেই ঘুম আসে না। গভীর রাত পেরিয়ে ভোরের দিকে যখন একটু ঘুম আসছিলো তখনই পুলিশ অতর্কিত লাঠিচার্জ করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে করা হয় মারধর। শত শত শিক্ষক ও শ্রমিকের আহাজারিতে আশেপাশের এলাকায় রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙে।সরকারের কাছে দু’বেলা খাওয়ার মতো বেতনের দাবিতে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়া হলো।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই স্ব স্ব দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন স্বতন্ত্র এতবেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী, তাজরিন গার্মেন্টস ও এওয়ান গার্মেন্টসে কর্মরত শত শত মানুষ।
সান নিউজ/বিএস