নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের শরীরে এর নমুনা পরীক্ষার ওপেই বেশি জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, দ্রুত রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হলে সংক্রমন বন্ধ করাও সহজ। তবে নমুনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট নেই বাংলাদেশে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষণা সংস্থা আইডিসিআর’এর হাতে এই মুহুর্তে যে কিট রয়েছে তা দিয়ে মাত্র ১৭৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। কিটের জন্য বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে বিশ্ব সংস্থার দিকে। এর জন্য সংস্থার কাছে আবেদন জানানো হলেও তা কবে আসবে, তা কেউ বলতে পারছেন না।
এ অবস্থায় আপাতত সুখবর দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তারা জানিয়েছে এরই মধ্যে তারা নিজেরা উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার কিট উদ্ভাবনে। আর এই কিটের প্রত্যেকটির জন্য খরচ পড়বে মাত্র ২০০ টাকা। বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির দাবি, নতুন উদ্ভাবিত এই কিটে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই জানা সম্ভব হবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফল।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সান নিউজকে জানান, সিঙ্গাপুরের যে বিজ্ঞানী সার্স ভাইরাস পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন করেছিলেন , তিনি গত বছর থেকে কাজ করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তার সঙ্গে মিলে গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিজন কুমার শীলসহ আর কয়েকজনের একটি দল করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারের অনমতি পেলে এক মাসের মধ্যে আমরা এই কিট বাজারে ছাড়তে সক্ষম হব।
এক্ষেত্রে কোন জটিলতা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অনেক কাজই মুখ থুবড়ে পড়ে আমাদের দেশে। ওষুধ প্রশাসন অধিপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে কিটের কাঁচামাল হিসেবে জটিল কিছু রাসায়নিক উপাদান আমদানির জন্য অনুমতি চেয়েছি আমরা। এগুলো আনতে হবে ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড কিংবা ইউএসএ-এর মতো দেশ থেকে। চাইনাতে এগুলো পাওয়া গেলেও তারা আপাতত তা বিক্রি করছে না।
সান নিউজকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরি বলেন, “আমরা আশা করছি, এই কিট দেশে করোনা পরীক্ষা নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া ভয় কমাবে। তবে কিট বাজারে এলে সাধারণ মানুষ যাতে ৩০০ টাকার মধ্যে পরীক্ষা করাতে পারে তার জন্য সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থাটাও জরুরি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।