নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মাসেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর। এদিন সকালে বসবে সেতুর ৪১তম বা সবশেষ স্প্যান। সেতুতে এখন ফাঁকা রয়েছে মাত্র ১৫০ মিটার। যেখানে একটি স্প্যান তুলে দিলে পুরো সেতু একসঙ্গে দেখা যাবে।
পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণ অবকাঠামো। এরপর তিন বছর ধরে চলে একের পর এক স্প্যান বসানো। ১০ ডিসেম্বর পদ্মাসেতুতে বসতে যাচ্ছে সবশেষ স্প্যান। এদিন পদ্মার পাড়ে ঠিকাদারী ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্প্যান উত্তোলন করবে। এরই মধ্যে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সবশেষ স্প্যান সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে।
পদ্মাসেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, গত এপ্রিলে শেষ হয় পদ্মার সবগুলো খুঁটির কাজ। কথা ছিল জুলাইয়ের সব স্প্যান বসানো শেষ হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও বন্যা থামিয়ে দেয় কাজের গতি। এ সময় চার মাস স্থগিত ছিল স্প্যান বসানো কার্যক্রম। বন্যার পর আবার কাজের গতি ফিরে আসে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বসে যায় অবশিষ্ট স্প্যান গুলো।
পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৫০ মিটার লম্বা একেকটি স্প্যানে ১০৮ থেকে ১১৫ টুকরো স্টিল জোড়া দেওয়া হয়। স্প্যানের টুকরোগুলো ত্রিভুজ আকৃতির। এসব টুকরো অংশের ওজন থাকে ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ টন।
সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন জানান, সেতুর ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। স্প্যানের ওপর সড়কপথ নির্মাণের জন্য ২ হাজার ৯১৭টি রোডস্লাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ১ হাজার ২৬৫টি। অর্থাৎ পদ্মাসেতুর অর্ধেক সড়কপথ নির্মাণ শেষ হয়েছে। আর স্প্যানের ভেতরে রেলপথের জন্য ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব বসাতে হবে। তার মধ্যে এ পর্যন্ত বসেছে ১ হাজার ৮৭০টি।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছরে পদ্মাসেতুর সড়ক ও রেলপথের স্লাব বসানোর কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে। জুনের মধ্যে সড়ক ও রেলস্লাব দুই পাড় ছুঁয়ে যাবে। এরপর জুনের শেষ থেকে শুরু হবে সেতুর ফিনিশিং কাজ। ডিসেম্বরে সেতুতে গাড়ি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সান নিউজ/এসএম